নিজস্ব প্রতিনিধি: স্থানীয় প্রগতিশীল সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটি’ হতে পদত্যাগ করা দুই সদস্যকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা ও স্মারক সম্মাননা প্রদান করেছেন, সংগঠনটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা। এ সময় বিদায়ী দুই সহকর্মীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। বিদায়ী দুই সদস্য হলেন- সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফজলুর রহমান রাজন এবং এর আগে পদত্যাগ করা সদস্য শংকর হোড়। এ উপলক্ষ্যে ৪জুলাই বুধবার দুপুরে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন, সংগঠনের সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী সদস্য ফজলুর রহমান রাজন ও শংকর হোড় সহকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা ও হৃদ্যতার অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিদায়ী সহকর্মীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সংগঠনটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা ছাড়াও সহ-সভাপতি চৌধুরী হারুনুর রশিদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হেফাজত-উল বারী সবুজ, অর্থ সম্পাদক এম কামাল উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য জিয়াউর রহমান জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সম্প্রতি পুরনো রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সদস্য অন্তর্ভূক্তি হয়েছেন, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ফজলুর রহমান রাজন। এর আগে চলতি সালের জানুয়ারির দিকে একই প্রেস ক্লাবের সদস্য হয়েছেন শংকর হোড়।
অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের বক্তব্যে সাংগঠনিকভাবে আলাদা হলেও পেশা ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের জোরদার ছাড়া কোনো অবস্থাতেই অবনতি ঘটবে না মর্মে আত্মার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটির সাংবাদিকদের মধ্যে কোনো রকম বিভেদ বা দ্বন্ধ কাম্য নয় উল্লেখ করে সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, অতীতে নিজেদের মধ্যে যদি কোনো রকম ভুল বোঝাবুঝি হলে তার সবকিছু ভুলে আবার দৃঢ় ঐক্যশক্তি গঠন করে সবার মনে সৌদাহ্যপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। পরিবারের মধ্যে অনেক ঝগড়াঝাটি হয় কিন্তু সেগুলো মান অভিমান আর অনুরাগের- যা কখনও মনকে বিভেদ করতে পারে না। পারিবারিক বা সামাজিক শক্তি দৃঢ় রাখতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। তাই নিজেদের ভেতর ঐক্যশক্তি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে রাঙামাটির সংবাদকর্মী সবার প্রতি আন্তরিকপূর্ণ ও সহমর্মিতার মনোভাব এগিয়ে আসার আহবান জানান, রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি।
শেষে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন ফজলুর রহমান রাজন। এ সময় সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক হেফাজত-উল বারী সবুজকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।